বড় ভাইয়ের হত্যার বিচারের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চান সংবাদকর্মী খালেদ


admin প্রকাশের সময় : নভেম্বর ২৮, ২০২০, ১১:০৮ পূর্বাহ্ন / ১৬৯
বড় ভাইয়ের হত্যার বিচারের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চান সংবাদকর্মী খালেদ

সুনামগঞ্জ ডেস্কঃ ছোট্ট ভাই কাঁধে বড় ভাইয়ের লাশ যে কতোটা ভারী সেটা যে ব্যাক্তির কাঁধে উঠেছে সে ছাড়া আর কেউ বুঝতে পারে না। আমার ভাইয়ের খুনিরা আমার সবকিছু শেষ করে দিয়ে গেছে আমাদের আর কিছুই রইলো না। আগামী দিনগুলোতে আমি কি নিয়ে বাঁচবো।যে সন্ত্রাসীরা আমার ভাইকে হত্যা করেছে তারা এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই।বড় ভাইয়ের শোকে নিহত তাজ মিয়ার ছোট্ট ভাই খালেদ আহমেদ এবং তার পরিবার এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করতে চাই। কান্নাজড়িত কন্ঠে হতভাগ্য এই ভাই বলেন, পরিবারে একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি ছিলেন আমার ভাই, ভাইকে হারিয়ে আজ আমি দিশেহারা। এখন আমি যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করার সুযোগ পাই তাহলে আমি এবং আমার পরিবার সত্যে ঘটনাটি খুলে অন্তত মমতাময়ী এক মাকে আমার ভাই নিহত হওয়ার কারণটি জানাতে পারতাম।
তিনি আরো বলেন, “আমার ভাই কে তো আর ফিরে পাবো না কিন্তু যে সন্ত্রাসীরা আমার ভাইকে এভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই। আজ ৪৫ দিন অতিবাহিত হলে গেলো কিন্তু আজও পর্যন্ত সরাসরি হামলায় অংশ নেয়া কামরুজ্জামান, রুহুল আমিন, নুরুজ্জামান ও আনসার মিয়া কে এখনো গ্রেফতার করেনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো যতদ্রুত সম্ভব আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনুন।

কথা বলার এক পর্যায়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন হতভাগ্য ছোট ভাই খালেদ আহমেদ, সে আরো বলেন, আমার ভাই আমাদের পরিবারের একমাত্র অবলম্বন ছিলেন আমার ভাই বেঁচে নেই এখন আমার তিনটি ভাতিজার ভবিষ্যৎ কি ? কে নিবে তাদের দায়িত্ব ? আমরা কোথায় আশ্রয় নেব ? কাকে অবলম্বন করে বেঁচে থাকবো ? কি ভাবে চলবে সংসার ?

উল্লেখ্য, গত (১৪ অক্টোবর ) দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নের কাবিলাখাই গ্রামে ছাই দিয়ে মাছ ধরা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে যাওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করেন তাজ মিয়া। এমন অভিযোগ তার পরিবারসহ প্রতিবেশির, ছেলে হারা মা এবং স্বামী হারা স্ত্রী এখন পাগলপ্রায়। ছোট শিশুসহ পরিবারের সবাই এই হত্যাকান্ডের দ্রুত বিচার চায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। তাদের বিশ্বাস জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তাদের এই ডাকে অবশ্যই সাড়া দিবেন।