সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃঃ বাবা কোথায়, এই প্রশ্ন করার সে বয়সো তাদের হয়নি। তবে বাবার জন্য কা’ন্না করছে নিহতের অবুঝ তিন শিশু।
কিছুক্ষণ পরপর পাঁচ বছরের ছোট ছেলে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে ওঠে প্রতি রাতে, আর বায়না ধরে-‘বাবা কোথায়, আমি বাবার কাছে যাবো।’ বাবাকে না দেখতে পেয়ে ক্ষণে ক্ষণে বাড়ে শিশুটির কান্না।কিছুতেই শিশুটির মা আর সান্ত্বনা দিতে পারছিলেন না। বাবা কোথায় আছে সেটা না জানলেও আরিয়ান. রেদোয়ান. শিশুমন মন হয়ত এখনও বিশ্বাস করে তার বাবা একদিন ঠিকই বাড়ি ফিরবে।
গত ১৪ অক্টোবর রোজ বুধবার সন্ত্রাসী হামলায় মৃত্যুবরণ কিরেন তাজ মিয়া। বড় ছেলে আরিয়ান.রেদোয়ানের এমন অনুভূতির কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত তাজ মিয়া’র স্ত্রী জুমি আক্তার।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নের কাবিলাখাই গ্রামে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে তিন সন্তানের জনক তাজ মিয়া প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলায় নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করছেন তার পরিবার ।
এ দিকে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন যাবৎ ধরে বারবার নিষেধ দেয়ার পরেও তাজ মিয়ার মালিকানাধীন জায়গায় গ্রামীণ মাছ ধরার যন্ত্র ছাই দিয়ে মাছ ধরছেন প্রতিপক্ষ কামরুজ্জামান, রুহুল আমি, নুরুজ্জামান ও আনসার মিয়া নিষেধ অমান্য করে আবারও মাছ ধরতে এলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়ান তারা। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলায় তাজ মিয়া নিহত হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ।
পরিবারের দাবী,ঘটনার এক মাস পেরিয়ে গেলেও খুনিদের এখনো গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়নি। পুলিশ বরাবরের মতো আসামি খুজে পাচ্ছেনা।
তাই নিহতের পরিবার এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তাদের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন আসামী গ্রেফতার ও বিচারের আশায় এবং দ্রুত আসামী গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী পরিবার ও এলাকাবাসীর।
আপনার মতামত লিখুন :