অনলাইন ডেস্কঃ তাজ মিয়া হত্যার দুই মাস পেরিয়েছে। এখনো গ্রেফতার হয়নি তাজ মিয়া হত্যা মামলার মূল আসামী। খুনের মামলার আসামীরা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নানা ধরণের ভয়, ভীতি ও হুমকী প্রদর্শন করছে। পরিবারের সদস্যরা রয়েছে তীব্র আতংক ও উৎকন্ঠায়। গত ১৪ অক্টোবর ২০২০ দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়ন কাবিলাখাই গ্রামে তাজ মিয়া হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়। এই খুনের ঘটনায় ৫ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনায় দুই মাস পেরিয়েছে এখনো আসামীকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। এ দিকে আসামীরা প্রকাশ্যে, নির্বিঘ্নে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এই বিষয়ে খেঁাজ নিয়ে জানাযায়, গত অক্টোবর মাসের ১৪ তারিখ বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টায় মাছ ধরার ছাই পাতানো নিয়ে কাবিলাখাই গ্রামের মার্কেটের সামনে একই গ্রামের মৃত বশিদ আলীর ছেলে রুহুল আমীন (২৬), আমরিয়া গ্রামের মৃত আফসোছ মিয়ার ছেলে আনছার মিয়া (৪৫), শুকুর মিয়ার ছেলে নূরুজ্জামান (২৫) ও কামরুজ্জামান (২৩)’র সাথে কথা কাটাকাটি হয় নিহত তাজ মিয়ার।
পরে তা মারামারিতে রূপ নেয়। এ সময় আঘাত পেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তাজ মিয়া। হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার তাজ মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
বড় ভাই হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন অভিযোগ করেন খালেদ আহমদ বলেন, ‘আমার ভাই আমাদের অভিভাবক ছিলেন। তিনিই আমাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। ডোবায় মাছধরার ছাই পাতানোর মতো ছোট ঘটনাকে কেন্দ্র করে রুহুল আমীন, কামরুজ্জামান, নুরুজ্জামান ও আনছার মিয়া মিলে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। তারা এটি উদ্দেশ্যমূলক ভাবে ঘটিয়েছে। আমার ছোট ছোট ভাতিজাদের এতিম করে ফেলেছে উগ্র মেজাজের এ চার ঘাতক। আমরা এদের ফাঁসি চাই।
নিহতরে স্বজনদের অভিযোগ। এ ঘটনায় ১৪ অক্টোবর ৫ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের টানা দুইমাস পার হলেও পুলিশ আসামীদের গ্রেফতারে টালবাহান করছে।
নিহত তাজ মিয়ার চাচা মুনু মিয়া জানান, হত্যাকান্ডের এতদিন পার হলেও আসামীদের ধরা হচ্ছে না। আমরা এখন আতংকে রয়েছি। কখন কি ঘটে তা বলতে পারি না। আমার ভাতিজাকে যারা হত্যা করেছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
নিহত তাজ মিয়ার মা জানান, ছেলেই ছিল আমার একমাত্র ভরসা। অনেক শ্রম অনেক প্রচেষ্টা দিয়ে তাকে লালন পালন করেছি। আমার ছেলেকে যারা মেরে ফেলেছে তারা এখনো মুক্ত আকাশের নীচে ঘোরা ফেরা করছে আর আমরা কষ্টে দিন পার করছি।
আপনার মতামত লিখুন :