ইউনিয়ন নির্বাচনে যখন একজন মাহবুবুল হক শাহীন


admin প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৫, ২০২১, ১২:০৩ পূর্বাহ্ন /
ইউনিয়ন নির্বাচনে যখন একজন মাহবুবুল হক শাহীন

খালেদ আহমেদ,সিলেটঃঃ *ইউনিয়ন নির্বাচনে যখন একজন মাহবুবুল হক শাহীন*

আসন্ন ইউনিয়ন নির্বাচনকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে প্রার্থীতার দৌর ঝাপ,এলাকায় চলছে প্রার্থিতার জল্পনা-কল্পনা! চলছে বিভিন্ন গুঞ্জন! বিভিন্নজন দিয়ে চলছেন বিভিন্ন অঙ্গীকার। কেউ কেউ বলে যাচ্ছেন বিভিন্ন ইশতেহার। অগ্রগতির বাংলাদেশকে চিন্তা করলে,চিন্তা করতে হবে একদম মূল থেকে। এই মূল হলো গ্রাম অঞ্চল। আর এই গ্রাম অঞ্চল সবথেকে বড় ভূমিকা রাখে একটি উন্নয়নশীল এবং অগ্রগতিশীল দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে। তাই ইউনিয়ন পর্যায়ের নির্বাচন সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্বাচনে আম পাবলিকের প্রার্থীদের সঠিক পছন্দ এবং অপছন্দের উপর নির্ভর করে তাদের আগামীর উন্নয়ন। যখন জনগণ একজন মানুষকে নির্বাচিত করে চেয়ারম্যান বানিয়ে তাদের প্রত্যাশা পূরণের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়, সেই প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার কিছুদিন পরেই তার আসল রূপ বা চেহারা বেরিয়ে আসে ।
তখন জনগণেন মাথা ঠকানো ছাড়া আর কিছুই থাকে না যদি সেই প্রার্থী নির্বাচনে ভূল হয়। মানুষকে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে যখন কোন “লালসালু” ব্যক্তি প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হয়,নির্বাচিত হয়েই সে ই সব আগে জনগণকে ভুলে যায়।
জনগণকে ভুলে গিয়ে লিপ্ত হয় সরকারি ত্রাণ,টেন্ডার কিংবা বরাদ্দতেকে পকেট ভারী করার ধান্দায়। তার সাথে ত মামা চাচারা রয়েছেন ই। যেমন;সেই “লালসালু” প্রার্থী নির্বাচিত হয়েই তার পকেট ভারি করে,তার পকেট ভারী করার সাথে সাথে তার চ্যালাদের ও পকেট ভারী করায় ব্যস্ত হয়ে পরে। মাঝখান থেকে ধোকা খায় সাধারণ জনগণ। তাদের কাজের কাজ কিছুই হয় না।বরং নির্বাচিত হওয়ার পর সেই প্রার্থীর ধারে কাছে যাওয়া তো দূরের কথা,সাধারণ কোন দুঃখ-সুখের কথা বলতে গেলেই শিডিউলে লেগে যায় ঘন্টার পর ঘন্টা।অতচ! যেখানে সেই জনপ্রধিনিধিকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষের খবরা-খবর রাখা জরুরী ছিলো।

একটি জিনিস চিন্তা করলে গায়ের লোম খাড়া হয়ে যায়! প্রচন্ড শীতে যখন গরিব,অসহায়,এতিম, প্রচণ্ড ঠান্ডায় কম্বল এর অভাবে কষ্ট পায়,সেই সরকারি কম্বলের বরাদ্দতেকে,সেই জনপ্রতিনিধি সাধারণ জনগণ যাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিল,তিনি তার আশেপাশের লোকজনকে দেখে দেখে কম্বল দিয়ে দেন বিভিন্ন ডিলিং এর বিনিময়ে নিজের ফায়দা লুঠার জন্য!আরো কিছু দিয়ে দেন তার সাথের বডিগার্ড এবং পাতি নেতাদের। এই কম্বলগুলো অসহায় মানুষের কাছে শেষ পর্যন্ত পৌঁছে না।”লালসালু” জনপ্রধিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পর তার সাথে কিছু কমন পোলাপাইন,মামা,চাচা রিজার্ভ করে রেখে দেন তার নিজের সব কুকর্ম পরিকল্পনামাফিক সাজিয়ে করার জন্যে,যেন সামাজিক দৃষ্টিতে দেখলে মনে হয় এইটা চেয়ারম্যান সাহেবের একটা আর্ট। অতচ! তা ছিলো নিতান্তই তার ব্যক্তিগত কুকর্ম কিংবা অপরাধ।

তাই এইসব কিছু মাথায় রেখে সাধারণ জনগনকে ঠিক করতে হবে তাদের আগামী দিনের চেয়ারম্যান কেমন হবে? একজন প্রার্থীকে নির্বাচিত করার পর সাধারণ জনগণ তার সাথে ভালো কমিউনিকেশন করতে পারবে কিনা! একজন প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি জনগণের দ্বারে দ্বারে যাবেন কিনা!একজন প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার পর বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বরাদ্দমাফিক উন্নয়ন করবেন কিনা? অথবা তিনি সেই বরাদ্দ থেকে টাকা মেরে দিবেন কিনা বা সম্ভাবনা কতটুকু?প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার পর সাধারণ মানুষের দুঃখ – সুখ ভাগাভাগি করার ক্ষমতা আছে কিনা মানুষটির! একটি ইউনিয়নের সকল জনগণকে সব ধরনের সুবিধা দেওয়ার মন মানসিকতা সেই প্রার্থীর আছে কিনা? সে শিক্ষিত কিনা! সেই প্রার্থীর দূরদর্শিতা ক্ষমতা! বুদ্ধি আচার-আচরণ, নম্রতা ভদ্রতা আছে কিনা!সে চেয়ারম্যান হওয়ার পর তার জনপ্রিয়তা থাকবে আকাশচুম্বী, তখন সে সাধারন জনগণকে চিনবে কিনা? এইসব গবেষণা করে সাধারণ মানুষের উচিত একজন প্রার্থী নির্বাচন করা।

মাহবুবুল হক শাহীন ঠিক এমনই একজন মানুষ,যার আছে লম্বা এক ছাত্ররাজনীতির সফল ইতিহাস। একজন মানুষের যখন শুরুটা যখন হয় মিটিং-মিছিল কিংবা রাজপথ সৎ তেজস্বী চেতনা তেকে,তখন সে চেয়ারম্যান বা জনপ্রধিনিধি হওয়ার পর তার সাথে সাধারণ মানুষের এক সূক্ষ্ম সম্পর্ক তৈরী হয় অটোমেটিক।সেই ছাত্রনেতার সুকৌশল এবং তার দূরদর্শীতা অর্জন হয় অনেক আগে থেকেই সেই রাজপথ থেকে,সুতরাং সেই সুযোগ বা মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার প্লাটফর্ম হচ্ছে জনপ্রধিনিধি হয়ে জনসেবা করা।যেগুলি ছাত্রনেতাদের ছোটবেলার আজন্মা লালিত স্বপ্ন থাকে বড় হয়ে জনসেবা করা।সুতরাং এই দিক থেকে আমরা ছাত্রনেতার অগ্রাধিকার বেশি দেবো প্রার্থীতায়।

মাহবুবুল হক শাহীনের আছে ভালো এডুকেশনাল কোয়ালিফিকেশন। একজন প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার পর তার এরিয়াকে কতটুকু শিক্ষার আলোয় আলোকিত করবে,সেটা নির্ভর করে তার নিজের কতটুকু শিক্ষা আছে? সে নিজে কতটুকু তার নিজের শিক্ষায় নিজে আলোকিত হতে পেরেছে? সুতরাং তার উপর ডিপেন্ড করে নির্ভর করবে তার ইউনিয়ন কিংবা তার এরিয়ার মানুষের শিক্ষার উন্নয়ন। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা দেখেছি অশিক্ষিত মানুষ যখন চেয়ারম্যানের চেয়ার দখল করে, সেগুলি অনেকটাই “অপাত্রে কন্যাদান” এর মত অবস্থা হয়ে যায়। যার খেসারত হিসেবে সাধারণ মানুষকে দিতে “আক্কেল সেলামি” বা বোকামির দণ্ড।

মাহবুবুল হক শাহীনের আছে ভালো ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড। একজন প্রার্থী যখন নির্বাচিত হয়,তার প্রথম কাজটা হয় ইউনিয়নের অবহেলিত সেক্টরকে উন্নয়নে রূপান্তরিত করা। যদি কোন খারাপ ফ্যামিলির লোক সেই চেয়ারটিতে আরোহিত হয়, তখন সেই মানুষটি বরাদ্দের টাকাগুলো অনায়াশেই তার দলবল নিয়ে লুটপাট করে ঢাকায় গিয়ে ফুর্তি করে আসে। তার অজস্র উদাহরণ আমরা অতীতে দেখেছি। সুতরাং জনপ্রতিনিধি যে মানুষটি হবেন তার নিজের পেটে ক্ষুধা থাকলে হবে না! যদি কোন মানুষ নিজেই ক্ষুধার্ত অবস্থায় জনপ্রতিনিধি হয়, তখন সে নিজেই সব ভক্ষণ করে ফেলবে! জনগণের জন্য আর কিছুই থাকবে না। আর যদি ভুল করে কিছু থেকেই যায়, তা থাকবে উচ্ছিষ্ট। সুতরাং “সাধু সাবধান”।

মাহবুবুল হক শাহীন একজন তরুণ উদ্যোক্তা। মাহবুবুল হক শাহীনের রয়েছে লাক্সারি ইন্টেরিয়র ডিজাইনের ফার্ম। আমরা দেখেছি বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তারা তাদের কর্মকাণ্ড দিয়ে এক যুগান্তকারী ইতিহাস রচনা করেছে। তার উদাহরণ হিসেবে আমরা ধরতে পারি বাংলাদেশের বিভিন্ন উদ্যোক্তার ভালো সফল কর্মকাণ্ড। যারা উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হয়ে পরবর্তীতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে জনসেবায় নেমে পড়েছে নিজ অর্থায়নে। সুতরাং এই দিকটি খেয়াল করে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা জনসাধারণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ভবিষ্যতে।

তাই আসুন, উক্ত সব দিক মাথায় রেখে আগামী দিনের ইউনিয়ন নির্বাচনে মাহবুবুল হক শাহীনের পাশে দাঁড়াই আমরা সাধারন জনগন।ত্যাগী,সফল,ছাত্রনেতাকে সুযোগ দেই জনসেবা করার।