অনলাইন ডেস্কঃ সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়ায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ।
এক বিবৃতিতে কাউন্সিলর আজাদ দলের গুরুত্বপূর্ণ এই পদে তাকে আসীন করায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক, প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
বিবৃতিতে কাউন্সিলর আজাদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি ছাত্ররাজনীতিতে নাম লেখান। এরপর ছাত্রলীগ ও যুবলীগ করে এখন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। রাজনীতির দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় তিনি বিভিন্ন সময় জেল-জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, বিএনপি-জামায়াত জোট আমল ও ওয়ান ইলেভেনের সময় তিনি কারা নির্যাতিত হয়েছেন। শত জুলুম-নির্যাতনও তাকে কখনো মুজিবআদর্শ থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি।
কাউন্সিলর আজাদ বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু সম্মেলনে তিনি কাঙ্খিত পদ না পেলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা তিনি সাদরে গ্রহণ করেছেন। সিলেটের পবিত্র মাটিতে দলকে আরো জনবান্ধব ও সুসংগঠিত করতে তিনি কাজ করে যাওয়ারও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
আজাদ বলেন, নতুন দায়িত্ব নিয়ে তিনি মহানগরের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান। দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আলোকিত-উন্নত সিলেট’র স্বপ্নদ্রষ্টা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এমপি সিলেটের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর একমাত্র স্বপ্ন সিলেটের মাটি ও মানুুষের উন্নয়ন করা। ড. মোমেনের চলমান উন্নয়ন কাজেরও সহযোগী হয়ে ভূমিকা রাখতে চান কাউন্সিলর আজাদ।
আপনার মতামত লিখুন :